ইভান চৌধুরী, বেরোবি প্রতিনিধি: শর্ত গোপন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি কোর্সে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিউর রহমান ও সুবরণ চন্দ্র সরকার। এ নিয়ে জাহাঙ্গীন নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অবগত করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিউর রহমান ও সুবরণ চন্দ্র সরকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গবেষক চাকুরীরত হলে তাকে শিক্ষাছুটি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তির সময় ওই দুই শিক্ষকের আবেদনপত্রের সাথে উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে পরবর্তীতে অধ্যয়ন ছুটি প্রদান করা হবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
এরপরও তারা এই শর্ত গোপন করে ভর্তির পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু কোনো শিক্ষাছুটি গ্রহণ করেননি। এতে ওই দুই শিক্ষকের শিক্ষাছুটির বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। জাবি রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, তাদের শিক্ষাছুটির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় এবং জাবিতে অনলাইনে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি/সম্পন্ন করার সুযোগ নেই।
এদিকে ছুটি না নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি কোর্স চলাস্থায় ওই দুই শিক্ষক নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রমের বিপরীতে লাখ লাখ পারিতোষিক নিচ্ছেন বলে বিভাগের শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। এছাড়া বিভাগের অন্যান্য আর্থিক সুবিধাও গ্রহণ করছেন। একই সাথে দুই দিকের সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চলছে নানা সমালোচনা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র পেয়েছেন বলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আতিউর রহমান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির আবেদন জমা দিয়েছি। তারপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তি হয়েছি। ছুটির ব্যাপার টা আমাদের সুপারভাইজার ও জাবি কর্তৃপক্ষ বুঝবে। উনারা ছুটি দরকার হলে আমাদের ছুটি নিতে বলবেন।
সুবরণ চন্দ্র সরকার বলেন, শর্ত পূরণ না হলে তো আমি ভর্তি হতে পারতাম না। গতকাল আমাদের শিক্ষা ছুটি বিষয়ে মিটিং হয়েছে। আশা করি আমাদের ছুটি মঞ্জুর হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।